Not known Factual Statements About চাকরির খবর
Wiki Article
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিজের রাজ্য ডেলাওয়ারে হ্যারিস জিতেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে থাকা আরেক রাজ্য নিউ জার্সিতেও হ্যারিস জিতেছেন।
জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে তিনশোরও বেশি ভোট পেতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন একজনই; গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ১৮৮৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৮৮৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসনের কাছে হেরে যান ক্লিভল্যান্ড। পরবর্তীতে ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে অংশ নেন। হ্যারিসনকে হারিয়ে আবারও হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় বসেন ক্লিভল্যান্ড। আমেরিকার ২২তম ও ২৪তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
ছবির ক্যাপশান, হোয়াইট হাউজের বারান্দায় মি. ট্রাম্প, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ছবি।
ছবির ক্যাপশান, জর্জিয়ার আটলান্টায় ফুল্টন কাউন্টি জেলে তোলা মি. ট্রাম্পের ছবি।
অন্যদিকে, নিউ ইয়র্কে তার সাজা (যুক্তিযুক্তভাবে সবচেয়ে দুর্বল অভিযোগের ভিত্তিতে) নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বিলম্বিত হয়ে গিয়েছে।
ছবির ক্যাপশান, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিলের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প
আমেরিকার কংগ্রেসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে দুইটি প্রস্তাব জমা পড়েছে। ২০ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষেই আগে যাতে তাঁকে হটানো যায়, তার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। প্রথমত, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর আওতায় ক্যাবিনেটের কাছে যাতে এই প্রস্তাব তোলেন এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে ট্রাম্পকে সরাতে উদ্যোগী হন, তার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। [৭৯]
মি. ট্রাম্প ছয়বার ব্যবসায় দেউলিয়া হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ট্রাম্প স্টিকস এবং ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার বেশ কয়েকটা উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি তার আয়কর সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা হওয়ার হাত থেকে থেকে আড়াল করেছেন। ২০২০ সালে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর আয়কর এড়ানোর অভিযোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক দলীয় সদস্যপদ বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। ১৯৮৭ সালে তিনি রিপাবলিকান পার্টির সদস্য ছিলেন, পরবর্তী ১৯৯৯ সালে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রিফর্ম পার্টির সদস্য হন, ২০০১ সালে ডেমোক্র্যাট[৮২] ২০০৯ সালে রিপাবলিকান, ২০১১ সালে স্বতন্ত্র এবং ২০১২ সালে পুনরায় রিপাবলিকান হন।[৮৩] ১৯৮৭ সালে ট্রাম্প তার পররাষ্ট্র নীতি এবং ফেডারেল বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে তিনটি প্রধান পত্রিকায় পুরো পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন দেন।[৮৪][৮৫] তিনি স্থানীয় আসনের জন্য প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতি হিসেবে লড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।[৮৪] ১৯৮৮ সালে তিনি লি অ্যাটওয়াটারের সাথে যোগাযোগ করেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সহ-প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। বুশ এই অনুরোধকে "অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য" বলে মন্তব্য করেন।
‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’-এর ১৪টি সিজনে প্রতিযোগীরা তার বিশাল ব্যবসায় একটা চুক্তি পাওয়ার জন্য লড়াই করতেন। এই অনুষ্ঠানের হাত ধরে তিনি টেলিভিশন পর্দার একজন পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তার মুখে ‘ইউ আর ফায়ারড’ সংলাপ খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায়।
ডোনাল্ড জন ট্রাম্প (জন্ম: ১৪ জুন ১৯৪৬), বা সংক্ষেপে ডোনাল্ড ট্রাম্প, হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান এবং ৪৭ তম রাষ্ট্রপতি।[৩][৪] এছাড়াও, তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং লেখক হিসেবে আলোচিত।[৫][৬] এর আগে তিনি ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৭][৮]
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট টাইকুন ফ্রেড ট্রাম্পের চতুর্থ সন্তান।
মূল নিবন্ধ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২০
https://dailysabasbd.com/